সারাভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থার (এ আই পি এস ও) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কলকাতার শিয়ালদহ স্মার্ট বাজারের সামনে প্যালেস্তাইন সংহতি সভা করলো।
এদিনের সভায় যে প্রধান দাবিগুলি বিশেষ গুরুত্ব পায় সেগুলো হল-
- অবিলম্বে ইজরায়েলি আগ্রাসন,
- গাজার গণহত্যা ও অবরোধ বন্ধ করতে হবে,
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দখলদারিত্ব ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে,
- প্যালেস্তাইনের জনগণের জীবন মর্যাদা এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার দিতে হবে এবং ভারত সরকারকে স্পষ্টভাবে প্যালেস্তাইনের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।
এদিনের সংহতি সভায় সভাপতিত্ব করেন এ আই পি এস ও -র সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের রাজ্য কোষাধ্যক্ষ কুণাল বাগচী।
দাবিগুলির সমর্থনে বক্তব্য বলেন, এআইপিএসও-র পক্ষে সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন বেরা। আরশাদ আলী, অশোক গুহ, সম্রাট দত্ত, তাপস সিনহা, দেবব্রত রায় প্রমুখ।
এদিন নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রায় দু বছরের কাছাকাছি মার্কিন মদতপুষ্ট প্যালেস্তাইন প্যালেস্তাইনের গাজা বউ খণ্ড আক্রমণ চালাচ্ছে। প্রায়৭০-৮০ হাজার মানুষ এই হামলায় খুন হয়েছে। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। এই হামলার আমেরিকা সহ বিভিন্ন মানুষ রাস্তায়। ধীরে ধীরে গোটা প্যালেস্তাইনের দখল কায়েম করতে চাইছে। আজ প্যালেস্তাইনের মানুষ নিজভূমিতে পরবাসী। প্যালেস্তাইনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না অসামরিক স্হান।
স্কুল-কলেজ বা হাসপাতালের মতো জায়গাগুলো রেহাই পাচ্ছে না। আমরা এই অবস্হায় ভারত সরকারের অবস্হান দেখে খুব হতাশ। নেহেরু থেকে মনমোহন সিং এমনকি অটলবিহারী বাজপেয়ীও প্যালেস্তাইনকে সংহতি জানিয়েছে। অথচ ভারত সরকার নেতিবাচক ভূমিকা আমাদের অবাক করছে। এ নিয়ে ভারত সরকার তার স্পষ্ট অবস্হান নিতে পারছে না। তবে এ আই পি এস ও তার লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সব থেকে অবাক করার মতো বিষয় যে, গাজার ত্রাণ শিবিরে ইজরায়েল বোমা হামলা করেছে। এরা কত নিষ্ঠুর। আমরা চুপ থাকতে পারিনা। এদিন কবিতা পাঠ করেন কবি অসীম চট্টোপাধ্যায়।
খুলনা গেজেট/এএজে/এনএম